সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

চাপা দেওয়া ইতিহাসের ঢাকনা তুলে সম্মান জানানো হল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজী সুভাষচন্দ্র কে

চাপা দেওয়া ইতিহাসের ঢাকনা তুলে সম্মান জানানো হল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজী সুভাষচন্দ্র কে



গত 21 শে অক্টোবর এক ব্যাতিক্রমী ঘটনা ঘটল। ১৫ আগষ্ট ছাড়াও ২১ অক্টোর পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধামন্ত্রী। চলেছেন লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ সংগ্রহশালা স্থাপন করতে।
কিন্তু কেন?
১৯৪৩ এর ২১ অক্টোবর ভারত মাতার বীর সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস তেরঙা পতাকা উত্তোলন করে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন। গড়েছিলেন আজাদ হিন্দ সরকার। তিনি হয়েছিলেন সেই স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন রাসবিহারী বসু। জাতীয় সঙ্গীত হয়েছিল "জনগন মন"।
সাত সাতটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল সেই স্বাধীন রাষ্ট্র ভারতবর্ষকে।
কিন্তু স্বদেশের নেতারা করেছিল বেইমানী।
গান্ধী, নেহেরু সেদিন নেতাজীর আহ্বানে সাড়া দেয়নি। গান্ধী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। নেহেরু সমর্থনের পরিবর্তে তরবারী দিয়ে আহ্বান জানাবে বলেছিলেন।
সেদিন যদি বেইমানি না হোত, তবে হয়তো চার বছর আগেই দেশ স্বাধীন হোত। হোতনা কলকাতা নোয়াখালীর দাঙ্গা। হোত না ভারত ভাগ।
লেডি ব্যাটনের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া নেহেরু, আর সশস্ত্র আন্দোলনের পিছনে ছুড়ি মারা গান্ধী সেদিন যে পাপ করেছিল.. আগামী কাল সে পাপকে খানিকটা লাঘব করার চেষ্টা হতে চলেছে ।
চাপা দেওয়া ইতিহাসের ঢাকনা তুলে সম্মান জানানো হল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজী সুভাষচন্দ্র কে। স্বীকৃতি জানানো হবে আজাদ হিন্দ সরকার কে।
আশাকরি দেরীতে হলেও দেশবাসী এ সাধু উদ্যোগ কে সানন্দে স্বাগত জানাবেন।
ধন্যবাদ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এ শুভ উদ্যোগ কে।

জীবনের প্রথম যুদ্ধের কথা কি ভুলে গেছেন , আপনি যে জন্ম থেকেই জয়ী

জীবনের প্রথম যুদ্ধের কথা কি ভুলে গেছেন  , আপনি যে জন্ম থেকেই জয়ী


বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো,  লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো!
এই ৪০ কোটি শুক্রাণু, মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু।
আর বাকিরা ? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়।এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে।তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে, অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি, অথবা আমরা সবাই।
কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন?
১। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন" তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা,তবুও আপনি জিতেছিলেন।
২। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন"তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৩। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন।
৪। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।
- এর পর, বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু আপনি মারা যান নি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি টিকেছিলেন ।
- বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায়। আপনি এখনো বেঁচে আছেন ।
- অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায়। আপনার কিছুই হয় নি ।
- বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, আপনি এখনো আছেন ।
আর আজ......
আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেনো ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন ? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন ? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে, ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
কেনো আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন??
কেনো বলেন আমি আর বাচতে চাইনা?
কেনো বলেন আমি হেরে গিয়েছি?
এমন হাজারো কথা তুলে ধরা সম্ভব, কিন্তু আপনি কেনো হতাশ হয়ে পড়েন?
আপনি কেন হারবেন? কেন হার মানবেন? আপনি শুরুতে জিতেছেন,শেষে জিতেছেন, মাঝপথেও আপনি জিতবেন।

রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮

E-Pension সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জেনে নিন খুব সহজে

E-Pension সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জেনে নিন খুব সহজে



সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত এবং স্পনসর্ড বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষকা এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য সুখবর। আগামী দিনে আপনাদের উত্তর অবসর কালীন ভাতা বা pension ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে ।
বর্তমানে বিদ্যালয় গুলি থেকে যে পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে একজন অবসর আসন্ন শিক্ষক/শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীর কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ডি আই অফিসের মাধ্যমে পূর্তভবন হয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি দপ্তরে পৌছনো হয়, অর্থাৎ শিক্ষাদপ্তরের 26/05/1998 তারিখের বিজ্ঞপ্তি 88/SED, তার পরিবরর্তে এসেছে 62-SSE/17 তাং 17/04/2017।
আসুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই নতুন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কি ভাবে আগামী দিনে উত্তর অবসর কালীন ভাতা বা pension এর জন্য দরখাস্ত করতে হবে :
⚫১ম ধাপ : অবসরের ঠিক এক বছর আগে আপনার mobile phone (যেটা আপনার নামে osms.wbsed.gov.in পোর্টালে দেখানো আছে) বা আপনার registered email account এ একটা sms পৌছে যাবে। এই sms এর মাধ্যমে আপনি একটা log in ID এবং OTP পাবেন (যার মেয়াদ মাত্র ১৫ দিন)।
এই log in ID র মাধ্যমে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে ।
⚫২য় ধাপ: ওয়েব সাইটে log in করে আপনাকে দুটো ফর্ম পুরন করতে হবে। Part A এবং Part B।
Part A তে লিপিবদ্ধ আছে আপনার চাকুরী সম্বন্ধিত প্রাথমিক তথ্যসমূহ ( approval memo number, date of appointment, bank account details, name of treasury etc), সেগুলির যথার্থতা সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হলে আপনি আপনার DCRG এবং LTA র নমিনিদের নাম নথীভুক্ত করবেন এবং জানাবেন যে আপনি pension "commute" করতে চান কি না। এর পর আপনি page টা save করলেই এসে যাবে part B.
Part B তে আপ আপনি আপনার pension commutation এর হার লিপিবদ্ধ করবেন। মনে রাখবেন, commutation করতে স্বীকৃত হলে তবেই এই অংশে আপনার কাজ আছে, নতুবা নয়। পূর্বের ন্যায় আপনি আবার তথ্যসমূহ save করবেন ।
⚫৩য় ধাপ : আপনার পূরনকরা part A এবং part B তিন খানা করে প্রিন্ট আউট বের করতে হবে। প্রতিটিতে সাক্ষর করে আপনি দুই কপি আপনার বিদ্যালয় প্রধানের কাছে জমা দেবেন। সাথে দিতে হবে আপনার নমুনা সাক্ষর ( একটি সাধারণ কাগজে তিন খানা সাক্ষর, কোনো gazetted officer দ্বারা attested) এবং আপনার তিন কপি ছবি ( বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর সাথে যৌথ ছবি, বিদ্যালয় প্রধান দ্বারা attested)।
⚫৪র্থ ধাপ : বিদ্যালয় প্রধান আপনার কাছ থেকে এই document গুলো নিয়ে তার ভাগের কাজ শুরু করবেন*।
Portal এর বাকি তিনটে form ( Part C, D এবং E) এবং Annexure 1 (যার মাধ্যমে তিনি part A এবং part B certify/ authenticate করবেন) তিনি পূরণ করবেন এবং প্রতিটির দুই কপি করে print out নেবেন।
Part C- Pay details and qualifying service certificate.
Part D- e-service book
Part E- Pay certificate
বিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট ডি আই অফিসে প্রতিটি ফর্মের একটি করে কপি এবং আপনার service book পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সাথে অবশ্যই আপনার নমুনা সাক্ষর এবং যৌথ বা একক ছবি।
⚫৫ম ধাপ : এর পরের অংশে ডি আই দপ্তর থেকে এই সকল তথ্য ( কাগজ নয়) পূর্ত ভবনে on line পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং এক পদ্ধতিতে সকল তথ্য treasury office এ চলে যাবে।
সমস্ত তথ্যাবলী সম্বন্ধে সন্তুষ্ট হয়ে, Treasury Officer আপনার Pension Payment Order এর print out বের করে আপনাকে sms বা email এর মাধমে জানিয়ে দেবেন। এই তথ্য বিদ্যালয় প্রধানের কাছেও পৌছে যাবে। বিদ্যালয় প্রধান এর পরে online "no litigation certificate" পাঠিয়ে দেবেন treasury officer এর কাছে ( তিন দিনের মধ্যে) যার পর আপনার ব্যাঙ্ক এক্যাউন্টে জমা পরবে আপনার উত্তর অবসর কালীন ভাতা বা pension।
বি: দ্র:
১) প্রতিটি ধাপে online acknowledging slip তৈরি হবে এবং আপনার registered mobile phone বা email account এ তা পৌছে যাবে।
২) নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে প্রত্যেকের কাজ সমাধা করতে হবে, নতুবা কৈফিয়ত দিতে হবে।
৩) আপনার নামে একটা বিশেষ ID তৈরি হবে, এবং একটা নাম্বার থাকবে যার সাহায্যে আপনি আপনার status জানতে পারবেন।
৪) আপনার অংশের কাজ আপনাকেই সম্পূর্ণ করতে হবে। তথ্যাবলী অসম্পূর্ণ বা ভুল হলে বিদ্যালয় প্রধান আপনাকে সেটা ফিরিয়ে দিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে পূনরায় সেই তথ্যাবলী সঠিক ভাবে পূরণ করে on line জমা করতে হবে ।
৫) D.A. getting বিদ্যালয় গুলি আপাতত এই পদ্ধতীর আওতায় আসছে না।

এই গাছটি হতে পারে আপনার জন্য প্রাণঘাতী !! নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এক্ষুনি লেখাটি পড়ুন !!

এই গাছটি হতে পারে আপনার জন্য প্রাণঘাতী !! নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এক্ষুনি লেখাটি পড়ুন !!




গাছটির নাম পার্থেনিয়াম । প্রকৃত অর্থে পার্থেনিয়াম এক ধরনের বিষাক্ত আগাছা।কৃষিক্ষেত্রের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত দূষক এই উদ্ভিদটি । এর বৈজ্ঞানিক নাম Parthenium Hysterophorus. কয়েক বছর আগে রাস্তা বা রেললাইনের ধারেই দেখা মিলত। কিন্তু এখন রাস্তার ধারে, আপনার বাড়ির পাশে, খেলার মাঠ, কৃষিজমি থেকে শুরু করে যত্রতত্র থাবা বসাতে শুরু করেছে বিষাক্ত এই পার্থেনিয়াম।